একলব্য
গুরুর প্রতি শিষ্যের একনিষ্ঠ ভক্তির উদাহরণ একলব্য। গুরুদেব দ্রোনের কাছে একলব্য গিয়েছিলেন যুদ্ধবিদ্যা শিখতে। কিন্তু একলব্য ক্ষত্রিয় ছিল না বলে দ্রোন তাকে শিষ্য হিসেবে গ্রহণ করতে রাজী হননি। কিন্তু বালক একলব্য দ্রোনকেই গুরু মেনে গহীন বনে একমনে যুদ্ধবিদ্যা শিখতে থাকে। একদিন দেখা যায় একলব্য দ্রোনের ক্ষত্রিয় শিষ্যদের চেয়েও বড় যোদ্ধা হয়ে যান। বনে ঘুরতে এসে একদিন দ্রোন একলব্যের প্রতিভার পরিচয় পেয়ে জানতে চান কে তার গুরু। একলব্য দ্রোনকেই গুরু বলে জানায়। দ্রোন তখন গুরুদক্ষিণা হিসেবে একলব্যে হাতের বুড়ো আঙ্গুল দাবি করে। একলব্য বিনাবাক্যে গুরুকে তা দিয়ে দেয়। মহাভারতে উক্ত একলব্য দ্রোণাচার্যের নিকট ধনুবিদ্যা শিক্ষা করবার জন্য উপনীত হলে দ্রোন তাকে প্রত্যাখ্যান করেন। ফলে একলব্য দ্রোণাচার্যের মূর্তি স্থাপন করে গুরু রূপে উপাসনা করে সেই মূর্তির মাধ্যমে ধনুর বিদ্যা লাভ করেন অর্থাৎ পরমাত্মাই গুরু দ্রোণের মুর্তির মাধ্যমে। অর্থাৎ প্রতিকৃতির মাধ্যমে ধনুক বিদ্যা প্রাপ্ত হন। উপকোসলকে দক্ষিণাগ্নি,গারহপত্যাগ্নি,আহবণীয়াগ্নি ব্রহ্ম জ্ঞান দিয়ে ছিলেন। গুরু অল্পজ্ঞ হলেও গুরুকে ব্রহ্মা, বিষ্ণু, মহেশ্বর জ্ঞানে সেবা শুশ্রূষা করলে সেই গুরুর উপদেশ ক্রমে শিষ্য মোক্ষ লাভ করতে পারে।[১][২][৩][৪] একলব্য ছিলেন একজন শক্তিশালী তীরন্দাজ এবং যোদ্ধা। [৫] পরে মথুরায় যুদ্ধের সময় ভগবান শ্রীকৃষ্ণের হাতে একলব্য নিহত হন। তাঁর মৃত্যুর পর একলব্য ধৃষ্টদ্যুম্নরূপে পুনর্জন্ম গ্রহণ করেন এবং কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধে দ্রোণকে হত্যা করেন। তথ্যসূত্র
|