কোচবিহার
কোচবিহার বা কুচবিহার হল পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার জেলার জেলা সদর ও একটি গুরুত্বপূর্ণ শহর। কোচবিহারের উত্তরপূর্বে আসাম রাজ্য এবং দক্ষিণে বাংলাদেশ। জনসংখ্যার উপাত্তভারতের ২০১১ সালের আদমশুমারি অনুসারে কুচ বিহার শহরের জনসংখ্যা হল ২৮,২২,৭৮০।[১] এর মধ্যে পুরুষ ৫১% এবং নারী ৪৯%। এখানে সাক্ষরতার হার ৭৫%। পুরুষদের মধ্যে সাক্ষরতার হার ৮৬% এবং নারীদের মধ্যে এই হার ৭৭% | এই শহরের জনসংখ্যার ৯% হল ৬ বছর বা তার কম বয়সী। দর্শনীয় স্থানকোচবিহার রাজবাড়িকোচবিহার রাজবাড়ি (অপর নাম ভিক্টর জুবিলি প্যালেস) হল ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের কোচবিহার শহরের একটি দর্শনীয় স্থান। ১৮৮৭ সালে মহারাজা নৃপেন্দ্র নারায়ণের রাজত্বকালে ইংল্যান্ডের বাকিমহাম প্যালেসের আদলে এই রাজবাড়িটি তৈরি হয়েছিল। কোচবিহার রাজবাড়ি ইষ্টক-নির্মিত। এটি ক্ল্যাসিক্যাল ওয়েস্টার্ন শৈলীর দোতলা ভবন। প্রাসাদের একতলায় বিলিয়ার্ড রুম, গ্রন্থাগার, অতিথিশালা, ভোজনকক্ষসহ ২৪টি কক্ষ। দ্বিতলে ১৫টি শয়নকক্ষ, ৩টি বৈঠকখানা, ৪টি তোশাখানা, ১১টি স্নানঘরসহ মোট ৪০টি কক্ষ রয়েছে। দক্ষিণ দিকের ঘরগুলিতে রাজা-রানি থাকতেন। দ্বিতলে নাচঘরও ছিল বলে জানা যায়। এই প্রাসাদে প্রকাশ্য সিঁড়ি ছাড়াও একাধিক গোল সিঁড়ি রয়েছে। সিঁড়িগুলি কোনওটি কাঠের, কোনওটি লোহার। বেশ কিছু সিঁড়ি গম্বুজের মধ্যে উঠে গিয়েছে। প্রাসাদের পিছন দিকে ছিল পাকশালা। সামনে বারান্দা লাগোয়া সুন্দর পোর্টিকো। গোটা রাজাপ্রাসাদ জুড়ে ছিল মেহগনি কাঠের আসবাবপত্র। প্রাসাদ নির্মাণের সময় প্রাথমিকভাবে এটি ত্রিতল ছিল। ১৮৯৭ সালের ১২ জুন কোচবিহারে এক বিধ্বংসী ভূমিকম্পে এর ত্রিতল ভেঙে যায়। প্রাসাদের অলংকরণে বেশ কিছু জায়গায় পোড়ামাটির অলংকরণ রয়েছে। একে বাফ কালার টেরাকোটা বলা হয়। অলংকরণে সিমেন্ট ব্যবহার করা হয়নি। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান
পরিবহনকোচবিহার সড়কপথ, রেলপথ এবং অকাশপথে পারিবহন ব্যবস্থা রয়েছে। কোচবিহার বিমানবন্দর কলকাতায় দৈনিক উড়ান পরিষেবা প্রদান করে।[২] নিউ কোচবিহার জংশন রেলওয়ে স্টেশন শহরের সঙ্গে কলকাতা, দিল্লি, মুম্বই, বেঙ্গালুরু, চেন্নাই ও গুয়াহাটির যোগাযোগ রক্ষা করে। ২০১৮ সাল অনুযায়ী এটি উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেল অঞ্চলের ব্যস্ততম রেলওয়ে স্টেশন। আরও দেখুনতথ্যসূত্র
বহিঃসংযোগ |