জিম ব্রডবেন্ট
জেমস ব্রডবেন্ট (ইংরেজি: James Broadbent; জন্ম: ২৪শে মে ১৯৪৯) হলেন একজন ইংরেজ অভিনেতা।[১] অভিনয়ের স্বীকৃতি হিসেবে তিনি একটি একাডেমি পুরস্কার, একটি এমি পুরস্কার, দুটি গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার, দুটি বাফটা পুরস্কারসহ আরও বেশ কিছু পুরস্কার অর্জন করেছেন। লিংকনশায়ারের অভিনয়শিল্পী পিতামাতার ঘরে জন্ম নেওয়া ব্রডবেন্ট লেইটন পার্ক স্কুল ও কোয়াকার স্কুলে পড়াশুনা করেন। পরবর্তীতে তিনি লন্ডন একাডেমি অব মিউজিক অ্যান্ড ড্রামাটিক আর্ট থেকে ১৯৭২ সালে স্নাতক সম্পন্ন করেন। কর্মজীবনের শুরুর দিকে তিনি ন্যাশনাল থিয়েটার অব ব্রেন্টে প্যাট্রিক বার্লোর সহকারী হিসেবে কাজ করেন। প্রারম্ভিক জীবনজেমস ব্রডবেন্ট ১৯৪৯ সালের ২৪শে মে লিংকনশায়ারের বেকারিংয়ের হল্টনে জন্মগ্রহণ করেন।[২] তার পিতা রয় ল্যাভেরিক ব্রডবেন্ট ছিলেন একজন চিত্রশিল্পী, ভাস্কর, ইন্টেরিয়র ডিজাইনার ও আসবাবপত্র নির্মাতা এবং মাতা ডরিন "ডি" ব্রডবেন্ট (প্রদত্ত নাম: ফিন্ডলে) ছিলেন একজন ভাস্কর। তার পিতামাতা দুজনেই অভিনয়শিল্পী ছিলেন এবং হল্টনে হল্টন প্লেয়ার্স অভিনয় দলের সহ-প্রতিষ্ঠাতা।[৩] বিবিসি তাদের দুজনকে বিবেকবোধসম্পন্ন প্রতিবাদী বলে অভিহিত করেন যারা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে যোগ না দিয়ে দেশের জন্য কাজ করেছেন।[৪] হল্টন প্লেয়ার্স ১৯৭০ সালে উইকেনবাইয়ের একটি প্রাক্তন মেথডিস্ট চ্যাপেল ক্রয় করে এবং একে ১০০ আসন বিশিষ্ট থিয়েটারে রূপান্তরিত করে। রয় ব্রডবেন্টের নামানুসারে এই থিয়েটারের নামকরণ করা হয় ব্রডবেন্ট থিয়েটার। জিম তার পিতামাতার দ্বিতীয় পুত্র। তার দুই জমজ বোন ছিল, যারা জন্মের সময়ে মারা যায়। ব্রডবেন্ট লেইটন পার্ক স্কুল ও বার্কশায়ারের রিডিংয়ের কোয়াকার স্কুলে পড়াশুনা করেন।[৫] পরে কিছুদিন আর্ট কলেজে পড়াশুনার পর তিনি লন্ডন একাডেমি অব মিউজিক অ্যান্ড ড্রামাটিক আর্টে ভর্তি হন। সেখান থেকে তিনি ১৯৭২ সালে স্নাতক সম্পন্ন করেন।[৬] কর্মজীবনব্রডবেন্ট স্টিভেন ফ্রেয়ার্সের দ্য হিট (১৯৮৪), টেলি জিলিয়ামের টাইম ব্যান্ডিটস (১৯৮১) ও ব্রাজিল (১৯৮৫) চলচ্চিত্রে কাজ করেন এবং মাইক লেইয়ের লাইফ ইজ সুইট (১৯৯০) চলচ্চিত্রে অভিনয় করে প্রতিষ্ঠা লাভ করেন। তিনি চরিত্রাভিনেতা হিসেবে দ্য ক্রায়িং গেম (১৯৯২), এনচ্যান্টেড এপ্রিল (১৯৯২), বুলেটস্ অভার ব্রডওয়ে (১৯৯৪), দ্য বরোয়ার্স (১৯৯৭) ও লিটল ভয়েস (১৯৯৮) চলচ্চিত্রে অসামান্য অভিনয় প্রদর্শন করেন। ১৯৯৯ সালে তিনি মাইক লেইয়ের টপসি-টার্ভি ছবিতে নাট্যকার স্যার উইলিয়াম এস. গিলবার্ট চরিত্রে অভিনয় করেন। একই বছর তাকে কমিক রিলিফ প্যারডি ডক্টর হু স্কেচ ডক্টর হু অ্যান্ড দ্য কার্স অব ফ্যাটাল ডেথ-এ শাই ডক্টর চরিত্রে দেখা যায়। ২০০১ সালে সেই বছরের তিনটি অন্যতম সফল চলচ্চিত্র - ব্রিজেট জোন্স ডায়েরি, মুলাঁ রুজ! ও আইরিস চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। মুলাঁ রুজ ছবিতে অভিনয়ের জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেতা বিভাগে বাফটা পুরস্কার এবং আইরিস ছবিতে জন বেইলি চরিত্রে অভিনয়ের জন্য শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেতা বিভাগে একাডেমি পুরস্কার অর্জন করেন।[৭] তথ্যসূত্র
বহিঃসংযোগউইকিমিডিয়া কমন্সে জিম ব্রডবেন্ট সংক্রান্ত মিডিয়া রয়েছে। |