ডেভ নোর্স
আর্থার উইলিয়াম ডেভ নোর্স (ইংরেজি: Arthur William "Dave" Nourse; জন্ম: ২৬ জানুয়ারি, ১৮৭৮ - মৃত্যু: ৮ জুলাই, ১৯৪৮) ইংল্যান্ডের ক্রয়ডন এলাকায় জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত দক্ষিণ আফ্রিকান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ছিলেন। কিছু উৎসে তার জন্ম ২৫ জানুয়ারি, ১৮৭৯ তারিখ উল্লেখ করা হয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট দলের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছিলেন। ঘরোয়া ক্রিকেটে নাটাল, ট্রান্সভাল, ওয়েস্টার্ন প্রভিন্সের প্রতিনিধিত্ব করেছেন তিনি। দলে তিনি মূলতঃ বামহাতি ব্যাটসম্যান ছিলেন। পাশাপাশি বামহাতে মিডিয়াম পেস সুইং বোলিংয়ে পারদর্শীতা দেখিয়েছেন ডেভ ডাকনামে পরিচিত ডেভ নোর্স। দক্ষিণ আফ্রিকার টেস্ট দলের প্রধান চালিকা শক্তি হিসেবে বিশ বছরেরও অধিক সময়কাল প্রতিনিধিত্ব করেন। এছাড়াও প্রায় চল্লিশ বছর প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অংশ নিয়েছিলেন। ১৯০২ থেকে ১৯২৪ সালের মধ্যে ধারাবাহিকভাবে ৪৫ টেস্টে অংশ নেন। তবে, একটিমাত্র সেঞ্চুরি করতে পেরেছেন তিনি। খেলোয়াড়ী জীবনঅক্টোবর, ১৯০২ সালে জোহেন্সবার্গে সফরকারী অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তার টেস্টে অভিষেক হয় ও ৭২ রান সংগ্রহ করেন। পরের টেস্টে তিনি তার প্রথম টেস্ট উইকেট পান। ১৯০৫-০৬ মৌসুমে ইংল্যান্ড সফরে স্মরণীয় সাফল্য পান। সিরিজের প্রথম টেস্টে স্বাগতিক ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথমবারের মতো জয়লাভ করে তার দল। দলের সংগ্রহ ১০৫/৬ থাকা অবস্থায় আট নম্বরে ব্যাটিংয়ে নেমে নোর্স অপরাজিত ৯৩* রান তোলেন। তন্মধ্যে, শেষ উইকেট জুটিতে পার্সি শেরওয়েলের সাথে ৪৮ করেন ও ২৮৪ রানের অসম্ভব লক্ষ্যমাত্রা পূরণে সক্ষমতা দেখান। সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে ১৯০৭, ১৯১২ ও ১৯২৪ - তিনবার ইংল্যান্ড এবং ১৯১০-১১ মৌসুমে অস্ট্রেলিয়া সফর করেন তিনি। ১৯২১-২২ মৌসুমে সফরকারী অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে জোহেন্সবার্গে ১১১ রানের একমাত্র সেঞ্চুরি হাঁকান। ঐ সিরিজে দক্ষিণ আফ্রিকানদের ব্যাটিং গড়ে শীর্ষস্থান লাভ করেন। লেগ ব্রেক ও গুগলি বোলারদের প্রাধান্যতার যুগে নোর্স মাঝে-মধ্যেই টেস্ট দলে বোলিং উদ্বোধনে নামতেন। ৪১ টেস্ট উইকেটের পাশাপাশি ৪৩ ক্যাচ লাভে সক্ষমতা দেখান তিনি। প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট১৮৯৫ সালে ওয়েস্ট রাইডিং রেজিম্যান্টে অবস্থানকালে দুই বছর পর নাটালের পক্ষে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। ১৮৯৭ থেকে ১৯২৫ পর্যন্ত দক্ষিণ আফ্রিকার ঘরোয়া ক্রিকেটে নাটালের পক্ষে অবস্থানকালে সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হন। এরপর দুই মৌসুম ট্রান্সভালে খেলেন। পরবর্তীতে ১৯৩৫-৩৬ মৌসুমে ৫৮ বছর বয়সে ওয়েস্টার্ন প্রভিন্সের পক্ষে খেলেন। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তার সর্বশেষ প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে তিনি ৫৫ রান তুলেছিলেন। ১৯২০ সালে নাটালের সদস্যরূপে ট্রান্সভালের বিপক্ষে প্রথম-শ্রেণীর সর্বোচ্চ ইনিংস অপরাজিত ৩০৪* তোলেন।[১] ব্যক্তিগত জীবনতার পুত্র ডাডলি নোর্সও দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে ৩৪ টেস্টে অংশ নিয়েছেন। ১৮৯৫ সালে ওয়েস্ট রাইডিং রেজিম্যান্টে বাদ্যবাদক হিসেবে যোগ দেন। নোর্সের ভূমিকাকে স্মরণীয় করে রাখতে উইজডেন মন্তব্য করে যে, 'ডেভ' নামেই ক্রিকেট বিশ্বের স্মরণীয় হয়ে থাকবেন তিনি।[১] ক্রিকেটের বাইরে তিনি সৈনিক, রেলওয়ের গার্ড, সেলুন কিপার, বাণিজ্যিক ভ্রমণকারী, ম্যানেজার ও কেপ টাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোচ ছিলেন। তথ্যসূত্র
আরও দেখুনবহিঃসংযোগ
|