বাংলাদেশ বেতারবাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় বেতার সংস্থা। ১৯৩৯ সালে ব্রিটিশ আমলেপুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডে ‘ঢাকা ধ্বনি বিস্তার কেন্দ্র’ নামে নেয়া উদ্যোগ থেকে বর্তমানের বাংলাদেশ বেতার। ১৯৭৫ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত এটি রেডিও বাংলাদেশ নামে পরিচিত ছিল।[১]
ইতিহাস
এই অঞ্চলে বাংলাদেশঢাকাতে রেডিও সম্প্রচার শুরু হয় ১৬ই ডিসেম্বর, ১৯৩৯ সালে। প্রথম দিকে কেন্দ্রটি পুরনো ঢাকায় নাজিমুদ্দিন রোডে একটি ভাড়া করা বাড়িতে (বর্তমানে যেটি শেখ বোরহানুদ্দীন পোস্ট গ্রাজুয়েট কলেজ) যাত্রা শুরু করে। প্রথম নামকরণ করা হয় “ঢাকা ধ্বনি বিস্তার কেন্দ্র”। পরবর্তীতে কেন্দ্রটি শাহবাগে স্থানান্তর করা হয়।[২] রেডিওটি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ১৯৭১ সালের ২৬শেমার্চ তারিখে সম্প্রচার কেন্দ্র রেডিও পাকিস্তানেস্বাধীনতার ঘোষণা সম্প্রচার করা হয়। যা চট্টগ্রাম বন্দরে নোঙ্গররত একটি জাপানী জাহাজ থেকে শোনা গিয়েছিল এবং তা পুনসম্প্রচার করা হয়েছিল। যুদ্ধের সময় এটি স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র নামে পরিচিত ছিল। ভারী গোলা বর্ষণের কারণে বেতারকেন্দ্রটি কয়েকবার স্থানান্তর করা হয়েছিল।শেষে ২৫শে মে তারিখে কলকাতাতে সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল, যেখান থেকে যুদ্ধের বাকি সময় পর্যন্ত অনুষ্ঠান সম্প্রচার করা হতো। ডিসেম্বর ৬ তারিখে বেতারকেন্দ্রটিকে বাংলাদেশ বেতার নাম দেওয়া হয়।
সম্প্রচার
ঢাকারশেরে বাংলা নগরে জাতীয় বেতার ভবনে বাংলাদেশ বেতার ঢাকার ক, খ ও গ চ্যানেল এবং এফ.এম-এর অনুষ্ঠান নির্মাণের পাশাপাশি ১২টি আঞ্চলিক কেন্দ্র নিয়ে বাংলাদেশ বেতারের অনুষ্ঠান শাখার কার্যক্রম পরিচালিত হয়। এছাড়া বহির্বিশ্বে কার্যক্রম বাংলার পাশাপাশি সার্কভূক্তদক্ষিণ এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপের জন্য ৫(পাঁচ)টি বিদেশি ভাষায় অনুষ্ঠান নির্মাণ করে। এছাড়া ঢাকা ও আঞ্চলিক কেন্দ্রগুলোতে এ.এমের পাশাপাশি এফ.এমের নিজস্ব অনুষ্ঠান প্রচার করে। এফ.এম অনুষ্ঠানের পাশাপাশি বর্তমানে বিবিসি বাংলা, ডয়চে ভেলে, রেডিও চায়না ও এনএইচকে-এর অনুষ্ঠানও সম্প্রচার করে।[১]