রবিন সিং
রবীন্দ্র রামনারায়ণ রবিন সিং (ভারতের সাবেক ক্রিকেটার। ভারত ক্রিকেট দলে অল-রাউন্ডারের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন। সীমিত ওভারের ক্রিকেটে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। রবিন সিং উইকেটে অবস্থান করে যথাসম্ভব দ্রুত রান সংগ্রহসহ চমকপ্রদ ফিল্ডিং দক্ষতার কারণে পরিচিতি পেয়েছেন।[১][২][৩] মাঝারি-নিম্ন সারিতে ব্যাটিং ও মিডিয়াম পেস বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন তিনি। বর্তমানে তিনি ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স দলে কোচের দায়িত্ব পালন করছেন।[৪] ; জন্ম: ১৪ সেপ্টেম্বর, ১৯৬৩) ত্রিনিদাদ ও টোবাগোয় জন্মগ্রহণকারীপ্রারম্ভিক জীবনত্রিনিদাদের প্রিন্সেস টাউনে ইন্দো-ত্রিনিদাদিয়ান ও টোবাগোনিয়ান পরিবারে রবিন সিংয়ের জন্ম। তাদের পূর্ব-পুরষ অজমের থেকে এসেছেন।[৫] ১৯ বছর বয়সে ১৯৮৪ সালে তিনি ভারতে স্থানান্তরিত হন ও মাদ্রাজ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। এ সময়ে ক্লাব ও কলেজ পর্যায়ে ক্রিকেট জীবন শুরু করেন। বর্তমানে তিনি চেন্নাইয়ের আদায়ারে বসবাস করলেও তার পিতা-মাতা এখনও ত্রিনিদাদে অবস্থান করছেন।[৬] খেলোয়াড়ী জীবনপ্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট১৯৮১-৮২ মৌসুমে তামিলনাড়ু দলের পক্ষে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে প্রথমবারের মতো অংশগ্রহণ করেন।১৯৮৮ সালে দলকে রঞ্জী ট্রফি জয়ে প্রভূতঃ সহায়তা করেন। ক্লাব ক্রিকেটে তিনি অল-রাউন্ডারের সহজাত ভূমিকায় অবতীর্ণ হন।মৌসুমগুলোয় ধারাবাহিকভাবে সফলতা লাভের প্রেক্ষিত ত্রিনিদাদ ও টোবাগোর পাসপোর্ট ত্যাগ করে ভারতীয় নাগরিকত্ব লাভ করেন। এরফলে ভারতের জাতীয় দলে খেলার সুযোগ নিশ্চিত হয়।[৭] দুই দশকেরও অধিক সময়কালের মধ্যে ছয় সহস্রাধিক রান সংগ্রহ করেন। মিডিয়াম ফাস্ট বোলিং করে ১৭২ উইকেট দখল করেন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট১১ মার্চ, ১৯৮৯ তারিখে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ভারতের একদিনের আন্তর্জাতিক দলে অভিষেক ঘটে তার। কিন্তু সিরিজের পর দল থেকে বাদ পড়েন। ভারত দলে নিয়মিতভাবে খেলার জন্য তাকে আরও সাত বছর অপেক্ষা করতে হয়। ঘরোয়া ক্রিকেটে ধারাবাহিক ক্রীড়া প্রদর্শনের প্রেক্ষিতে তাকে ১৯৯৬ সালে অনুষ্ঠিত টাইটান কাপ প্রতিযোগিতায় খেলার জন্য ভারত দলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ২০০১ সাল পর্যন্ত তিনি একদিনের দলের নিয়মিত সদস্য ছিলেন। অজয় জাদেজা’র সাথে প্রায়শঃই ব্যাটিংয়ের জুটি গড়তেন। ১৯৯৯ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপে দলের অন্যতম সদস্য মনোনীত হন।[৮] কোচিংখেলোয়াড়ী জীবন থেকে অবসর নেয়ার পর ২০০৪ সালে হংকং দলে কোচিংয়ের দায়িত্ব পান।[৯] তার প্রশিক্ষণে হংকং ২০০৪ সালের এশিয়া কাপে অংশগ্রহণ করে। সেখানে দলটি অদ্যাবধি একমাত্র ওডিআইয়ে অংশগ্রহণ করে। ২০০৬ সালে ভারত এ ক্রিকেট দলের কোচ হিসেবে মনোনীত হন। সেখানে তিনি গৌতম গম্ভীর, রবিন উথাপ্পা’র ন্যায় একদল ক্রিকেটারদেরকে প্রশিক্ষণ দেন যারা পরবর্তীকালে জাতীয় দলে খেলার সুযোগ পেয়েছে।[১০] ২০০৭ সালে ভারত জাতীয় দলের ফিল্ডিং কোচ হন। এ দলে অক্টোবর, ২০০৯ সাল পর্যন্ত কর্মরত ছিলেন। ১৫ অক্টোবর, ২০০৯ তারিখে বোলিং কোচ ভেঙ্কটেশ প্রসাদ-সহ তাকে বিসিসিআই বরখাস্ত করে। তবে, অপ্রত্যাশিতভাবে তাদের এ বরখাস্তের বিষয়ে কোনরূপ কারণ দেখানো হয়নি।[১১] ২০০৮ সালে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের ফ্রাঞ্চাইজ দল ডেকান চার্জার্সের প্রধান কোচের দায়িত্ব পান।[১২] বর্তমানে তিনি মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের কোচ হিসেবে রয়েছেন। দলটি ২০১০ সালে রানার্স-আপ, ২০১৩ সালে শিরোপা লাভ করে। এছাড়াও, ২০১১ সালের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ টুয়েন্টি২০ ও ২০১৩ সালের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ টুয়েন্টি২০ প্রতিযোগিতার শিরাপা জয় করে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অনূর্ধ্ব-১৯ দলকে প্রশিক্ষণ দিয়েছেন তিনি। ২০১১ সালে বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত ক্রিকেট বিশ্বকাপের বাছাইপর্বে অংশগ্রহণকারী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মহিলা ক্রিকেট দলের কোচ হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন।[১৩] তথ্যসূত্র
আরও দেখুনবহিঃসংযোগ
|