হারাধন বন্দ্যোপাধ্যায়
হারাধন বন্দ্যোপাধ্যায় (নভেম্বর ৬, ১৯২৬ - জানুয়ারি ৫, ২০১৩) ছিলেন একজন ভারতীয় বাংলা চলচ্চিত্র এবং টেলিভিশন অভিনেতা। ১৯৪৮ সালে অতনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি দেবদূত দিয়ে চলচ্চিত্রে তার আত্মপ্রকাশ ঘটে।[১] তিনি সত্যজিত্ রায়ের পরিচালিত একাধিক ছবিতে অভিনয় করেন।[২] প্রারম্ভিক জীবন১৯২৬ সালের ৬ই নভেম্বর অবিভক্ত বাংলার তৎকালীন কুষ্টিয়া মহকুমার চুয়াডাঙ্গার দর্শনায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি চুয়াডাঙ্গার ভিক্টোরিয়া জুবিলী উচ্চ বিদ্যালয়ের ৩য় শ্রেণী পয়ন্ত পড়াশোনা করেন এর পর তারা বাবা পরিবার নিয়ে কুষ্টিয়ায় চলে যান। কুষ্টিয়া হাই স্কুল থেকে ম্যাট্রিক পাস করেন ১৯৪৪ সালে৷ আই-এ-তে ভর্তি হন কলকাতার সিটি কলেজে৷ স্নাতক হওয়ার পর চাকরিজীবনের শুরু গান অ্যান্ড শেল কোম্পানিতে৷ ১৯৪৬-এ যোগ দেন বিমা সংস্থায়৷ সেখান থেকেই অবসর নেন৷ ব্যক্তিগত জীবনতিনি পরিণীতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে বিয়ে করেন। সত্যজিৎ রায়ের পরিচালনায় ‘জয় বাবা ফেলুনাথ’ ছবিতে স্বামী হারানাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে অভিনয় করেছিলেন পরিণীতা দেবী, প্রশংসাও কুড়িয়েছিলেন। ‘জয় বাবা ফেলুনাথ’-এ উমানাথ ঘোষালের (হারাধন বন্দ্যোপাধ্যায়) স্ত্রীর চরিত্রে দেখা মিলেছিল পরিণীতার। যদিও তারপর অজ্ঞাত কারণেই আর ক্যামেরার সামনে দাঁড়াতে রাজি হননি।[৩] অভিনয় জীবনপ্রথম অভিনয় ১৯৪৮ সালে অতনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেবদূত ছবিতে৷ অভিনয় করেছেন হিন্দি সিনেমাতেও। সত্যজিৎ রায়ের কাপুরুষ, মহানগর, সোনার কেল্লা, জয় বাবা ফেলুনাথ প্রভৃতি ছবিতে অভিনয় করেন। হিন্দি ভাষার ‘পরিনীতা’ হারাধন বন্দ্যোপাধ্যায় অভিনীত উল্লেখযোগ্য সিনেমা।৷[৪] তিনি টেলিভিশন ও মঞ্চ নাটকেও অভিনয় করেছেন।২০০৫ সালে ক্রান্তিকাল সিনেমায় অভিনয়ের সুবাদে সহ-অভিনেতা হিসেবে চলচ্চিত্রে ভারতের জাতীয় পুরস্কার পান তিনি। ২০১১ সালে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার তাকে বঙ্গবিভূষণ সম্মানে ভূষিত করে।[৫] পুরস্কার
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারশ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেতা বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার এর ইতিহাসে ভিক্টর ব্যানার্জী , দীপঙ্কর দে এর পর তৃতীয় বাঙালী অভিনেতা হিসেবে ২০০৪ সালে ক্রান্তিকাল চলচ্চিত্রের জন্যে তিনি এই পুরস্কার পান।[৭] মৃত্যু৫ জানুয়ারি ভারতের স্থানীয় সময় দুপুর ১২টা ৪০ মিনিটে কলকাতার এক বেসরকারি নার্সিংহোমে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।[৮] তিনি কিছুদিন নিউমোনিয়ায় ভুগছিলেন।অসুস্থতা বেড়ে যাওয়ায় কিছুদিন আগে কলকাতার বেসরকারি নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয় তাকে। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৬ বছর। তথ্যসূত্র
বহিঃসংযোগ |