Share to:

 

২০২৪ বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ আন্দোলন

২০২৪ বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ আন্দোলন
ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানের এর পরের ঘটনা অংশ
তারিখ২২ অক্টোবর ২০২৪–বর্তমান
অবস্থান
লক্ষ্যরাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিনের পদত্যাগ
পদ্ধতিপ্রকাশ্য বিক্ষোভ
অবস্থাচলমান
পক্ষ
নেতৃত্ব দানকারী
ক্ষয়ক্ষতি
আহত৩০[][][]

২০২৪ বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ আন্দোলন হলো একটি চলমান বিক্ষোভ যা সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর তার বিতর্কিত মন্তব্যের কারণে রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিনের পদত্যাগের দাবিতে।[] বিক্ষোভকারীরা শাহাবুদ্দিনের বিরুদ্ধে স্বৈরাচারী শক্তির পক্ষে থাকার অভিযোগ তোলেন, যা ছাত্র ও সুশীল সমাজের গোষ্ঠীগুলির মধ্যে অসন্তোষ সৃষ্টি করে।[][]

রাজনৈতিক দুর্নীতি, সরকারি অব্যবস্থাপনা এবং আওয়ামী লীগের শাসনামলে গণতন্ত্রের কথিত ক্ষয় নিয়ে ব্যাপক হতাশার কারণে ছাত্র-নেতৃত্বাধীন সংগঠনগুলোর উদ্যোগে এই আন্দোলন তীব্রতর হয়েছে। সাংবিধানিক সংস্কার এবং রাষ্ট্রপতির অপসারণের আহ্বান বিক্ষোভের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে।[][]

পটভূমি

৬ আগস্ট, ২০২৪-এ, একটি অভ্যুত্থানের পরে, রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ ভেঙে দেন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ ঘোষণা করেন।[] এরপর তিনি রাজনৈতিক দল, সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য ও আন্দোলনকারীদের সঙ্গে বৈঠকের পর অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের কথা বলেন।[১০] রাষ্ট্রপতি ও প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের পর্যবেক্ষণে মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার ৮ আগস্ট, ২০২৪ তারিখে শপথ গ্রহণ করে।[১১]

পরে অক্টোবরে মানব জমিনের প্রধান[১২] রহমান চৌধুরীর সাথে কথোপকথনের সময় রাষ্ট্রপতি উদ্ধৃত করেন যে,

প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে শেখ হাসিনার পদত্যাগ এবং বিদ্যমান সংবিধান অনুযায়ী অন্তর্বর্তী সরকারের বৈধতা নিয়ে উদ্বেগের কথা উল্লেখ করেন এবং এই বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের মতামত নিয়েছিলেন তিনি।[১৫][১৬]

ঘটনা

  • ২২ অক্টোবর রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন মানবজমিন -এর সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরীকে দেওয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ’‘তিনি শুনেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেছেন, কিন্তু তাঁর কাছে এ-সংক্রান্ত কোনো দালিলিক প্রমাণ বা নথিপত্র নেই।’ তিনি আরও বলেন, ‘সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার যখন বঙ্গভবনে এলেন তখন জানার চেষ্টা করেছি প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করেছেন কি না? একই জবাব। শুনেছি তিনি পদত্যাগ করেছেন। মনে হয় সে সময় পাননি জানানোর। সবকিছু যখন নিয়ন্ত্রণে এলো তখন এক দিন মন্ত্রিপরিষদ সচিব এলেন পদত্যাগপত্রের কপি সংগ্রহ করতে। তাকে বললাম, আমিও খুঁজছি।’’[১৭]জনতার চোখ’ নামে একটি সাপ্তাহিক ম্যাগাজিনে রাষ্ট্রপতির এ বক্তব্য প্রকাশের পরই শুরু হয় তোলপাড়।[১৮][১৯]
  • ওই দিনে অন্তর্বর্তী সরকারের যুব ও ক্রীড়া এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেছেন, রাষ্ট্রপতির কাছে মৌখিকভাবে পদত্যাগ করেছিলেন শেখ হাসিনা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পালিয়ে যাওয়ার একটি রম্য ছবি পোস্ট করে ছবির ক্যাপশনে তিনি এ কথা বলেন। ফেসবুক পোস্টে আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘‘রাষ্ট্রপতির কাছে মৌখিকভাবে পদত্যাগ করেছিলেন স্বৈরাচারী খুনি হাসিনা। পদত্যাগপত্র নিয়ে বঙ্গভবনে যাওয়ার কথা থাকলেও ছাত্র-জনতা গণভবনের কাছাকাছি চলে এলে পালিয়ে যেতে বাধ্য হন খুনি হাসিনা।’’ রম্য ছবিতে দেখা যায়, শেখ হাসিনা ও তার বোন শেখ রেহানা প্লেনে করে পালিয়ে যাচ্ছেন। নিচে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা উদ্বিগ্ন হয়ে তাকিয়ে আছেন। ছবির এক কোনায় লেখা রয়েছে, জনগণের দৌড়ানিতে যে দেশ ছেড়ে পালায় তার আবার কীসের পদত্যাগ?[২০][২১]
  • হাসনাত আবদুল্লাহ এক ফেসবুক স্টাটাস এ বলেন হাসিনাকে উৎখাত করা হয়েছে, একটি অবৈধ সরকারকে জনগণ অভ্যুত্থানের মাধ্যমে উৎখাত করেছে। এখানে পদত্যাগপত্রের কোনো ভূমিকা নেই। এ স্ট্যাটাসের আগে দেশবাসীকে উদ্দেশ করে ফেসবুকে পোস্ট করা এক ভিডিও বার্তায় হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী শক্তির উত্থান ও পুনর্বাসন ঠেকাতে দলমতনির্বিশেষে জাতীয় ঐক্যের বিকল্প নেই। আপনারা দেখেছেন রাষ্ট্রপতি বলেছেন শেখ হাসিনা তাঁর কাছে কোনো পদত্যাগপত্র জমা দেননি। আমরা দেখেছি গত রবিবার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগ আবার পুনর্বাসনের জন্য বিভিন্ন ধরনের পাঁয়তারা করেছে এবং ঢাকা শহরের বিভিন্ন প্রান্তে ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আওয়ামী লীগের যে পতিত আত্মারা রয়েছে, তারা বিভিন্নভাবে জড়ো হওয়ার পাঁয়তারা করছে। আপনারা যদি প্রত্যেকটি ঘটনাকে একত্রিত করার চেষ্টা করেন, তাহলে দেখবেন আওয়ামী লীগ আবার পুনর্গঠিত হয়ে ফ্যাসিবাদের রাষ্ট্র কাঠামো করার চেষ্টা করছে। হাসনাত বলেন, ৫ আগস্টের আগে আমাদের একটাই পরিচয় ছিল, আওয়ামী লীগ ছিল জালিম আর আমরা ছিলাম মজলুম। কিন্তু ৫ আগস্টের পর বিভিন্ন ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাজনৈতিক স্বার্থে আমরা পৃথক হয়েছি যার কারণে একটি গ্যাপ তৈরি হয়েছে। যার কারণে এই গ্যাপটির সুযোগ নিয়ে আওয়ামী লীগ সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা করেছে। আমাদের আবার একত্রিত হতে হবে। আমরা যদি দলীয় স্বার্থে আলাদা হয়ে যাই তাহলে আওয়ামী লীগ আবারও সুযোগ নেবে। আওয়ামী লীগের পুনর্বাসন ঠেকাতে আমাদের একসঙ্গে থাকতে হবে। তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগকে স্থায়ীভাবে বাংলাদেশ থেকে নিষিদ্ধ করার জন্য এবং আওয়ামী লীগকে স্থায়ীভাবে সমূলে উৎপাটনের জন্য শেষ পর্যন্ত আমাদের একত্র থাকতে হবে। আমরা যদি নিজেদের দলীয় স্বার্থে এবং রাজনৈতিক স্বার্থে পৃথক হয়ে যাই, সেই সুযোগটি আওয়ামী লীগের পতিত আত্মারা নেবে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম এ সমন্বয়ক বলেন, আমরা আমাদের জায়গা থেকে আমাদের শক্ত অবস্থা নিশ্চিত করব, যাতে করে আওয়ামী লীগের কোনো পতিত আত্মা আর কোনোভাবেই বাংলাদেশের মাটিতে পুনর্বাসিত না হতে পারে। ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আওয়ামী লীগকে স্থায়ীভাবে, বিচারিকভাবে ও রাজনৈতিকভাবে নিষিদ্ধ করার জন্য আমাদের সামষ্টিক যত ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন আমরা সেই পদক্ষেপগুলো নেব। আওয়ামী লীগকে স্থায়ীভাবে বিতাড়িত করার জন্য আমাদের যে সংগ্রাম, এই সংগ্রাম সব সময় জারি থাকবে।[২২][২৩]
  • ২৩ অক্টোবর বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন মিলনায়তনে রাষ্ট্র সংস্কার নিয়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ আয়োজিত এক গোলটেবিল বৈঠকে সারজিস আলম বলেন, ‘‘রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন চুপ্পুর মতো মানুষ যদি বলেন শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্রের ডকুমেন্টস তিনি রাখেননি, তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া দরকার? তাঁর কোথায় থাকা দরকার তা ছাত্রসমাজ নির্ধারণ করবে।’’ ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে সারজিস আলম বলেন, ‘‘রাষ্ট্রপতি বলেছেন, শেখ হাসিনার রিজাইন পেপার দেখেননি। যারা দেখেও না দেখার ভান করছেন, তাদের বলতে চাই, আদালত, সচিবালয়সহ বিভিন্ন অফিস থেকে অনেক কিছু চিন্তা করেছিল। এমন অপচিন্তা যারা করছেন, তাদের হুঁশিয়ার করে দিতে চাই, কেউ যদি খুনিদের পুনর্বাসনের চেষ্টা করে, তাদের বিরুদ্ধে আবার ছাত্র-জনতা রাজপথে নামবে।’’[২৪][২৫][২৬][২৭]
  • ২৩ অক্টোবর আসিফ নজরুল বলেন, ‘‘গত ৫ আগস্ট নিজের মুখের ভাষণে সাবেক প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগপত্র দিয়েছেন এবং গ্রহণ করেছেন বলে জানান রাষ্ট্রপতি। এরপর একের পর এক কার্যাবলীর মধ্য দিয়ে এটা সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত উনি পুরো জাতির কাছে বিভিন্নভাবে বারবার নিশ্চিত করেছেন এবং সুনিশ্চিত করেছেন প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগপত্র দিয়েছেন এবং গ্রহণ করেছেন। আজ যদি প্রায় আড়াই মাস পরে বলেন পদত্যাগপত্র দেয়নি, তাহলে এটা এক ধরনের স্ববিরোধিতা হয়, শপথ লঙ্ঘন হয় এবং এই পদে থাকার যোগ্যতা আছে কি না সে সম্পর্কে প্রশ্ন আসে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘আমাদের বক্তব্য অত্যন্ত পরিষ্কার– উনার বক্তব্য, উনার কর্মকাণ্ডে উনি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগপত্র দিয়েছেন এবং গ্রহণ করেছেন। এখন স্ববিরোধী কথাবার্তা বলার কোনো সুযোগ নেই। যদি উনি এই বক্তব্যে অটল থাকেন তাহলে উনার রাষ্ট্রপতির পদে থাকার যোগ্যতা আছে কি না সেটা আমাদের উপদেষ্টামণ্ডলীর সভায় ভেবে দেখতে হবে।’’ পদত্যাগপত্র রাষ্ট্রের কাছে দেখাতে পারবেন কি না– এমন প্রশ্নের জবাবে আসিফ নজরুল বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করলে রাষ্ট্রপতির কাছেই পদত্যাগ করেন। সেটা রাষ্ট্রপতির দপ্তরেই থাকার কথা। বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী এটা নিয়ে কোনো আদালতে প্রশ্ন তোলার সুযোগ নেই। যেহেতু পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন বলেছেন, এখন বলছেন করেন নাই, তাহলে উনি কি করেছেন পদত্যাগপত্র সেটা উনাকেই জিজ্ঞেস করেন?’’ রাষ্ট্রপতির এ ধরনের কথা বলার নেপথ্যে কোনো কারণ আছে বলে আপনি মনে করেন কি না– এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘‘আমি এখানে অনুমান করতে আসি নাই এবং অনুমানের জায়গায় নেই। তবে এটা নিয়ে সমাজে প্রশ্ন আসতে পারে। আজ যখন দেখি পতিত ফ্যাসিস্ট মাথাচাড়া দিয়ে উঠে দাঁড়ানোর বিভিন্ন আয়োজন করছে। তখন হঠাৎ করে উনি আড়াই মাস পরে এ কথা বললেন কেন? এটা নিয়ে সমাজে প্রশ্ন আসতে পারে, সেটা আসাটা খুব স্বাভাবিক। এতদিন পরে এ ধরনের কথা বলার কোনো সুযোগ নেই।’’[২৮][২৯][৩০][৩১]
  • ২৩ অক্টোবর রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের বাসভবন বঙ্গভবনের সামনের নিরাপত্তা ব্যারিকেড ভেঙে ফেলার চেষ্টা করে একদল বিক্ষোভকারী। এ সময় তাদের সেনাবাহিনী ও পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের বাধা দিতে দেখা যায়। এর আগেরদিন রাজধানীসহ বিভিন্ন জেলা ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ দাবিতে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে সমাবেশ ও বিক্ষোভ হয়। সেখানে এক সপ্তাহের মধ্যেই রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের পদত্যাগ দাবি করা হয়। একই দাবিতে শাহবাগ ও বঙ্গভবনের সামনে বিক্ষোভ করে ইনকিলাব মঞ্চসহ কয়েকটি সংগঠন। এ ছাড়া ঢাকার বাইরে চট্টগ্রাম, খুলনা, বরিশাল, সিলেট, রংপুর, ময়মনসিংহ, পাবনা, টাঙ্গাইল, কক্সবাজার, ফেনী, মেহেরপুর, নড়াইল ও ঝিনাইদহ থেকে বিক্ষোভের খবর পাওয়া গেছে। জাহাঙ্গীরনগর ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়েও একই দাবিতে বিক্ষোভ-সমাবেশ করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা।[৩২][৩৩][৩৪]
  • ২৪ অক্টোবর রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের পদত্যাগের বিষয় নিয়ে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ঐক্যমত্যের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান[৩৫][৩৬]
  • ২৫ অক্টোবর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটির সমন্বয়ক মো. সারজিস আলম বলেছেন, ‘‘কেউ কল্পনাও করতে পারেনি শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালাবেন। শেখ হাসিনার নিজেকে সর্বশক্তিমান দাবি করাই বাকি ছিল। এছাড়া সবকিছুই দেশে হয়েছে। শেখ হাসিনার মতো মানুষের পতন হওয়া, দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়া এর থেকে লজ্জাজনক কিছু হতে পারে না। পালিয়ে যাওয়ার সময় নেতাকর্মীকে নিয়েও যেতে পারেননি।’’[৩৭]
  • ২৬ অক্টোবর রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনকে অপসারণ করার বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও নাগরিক কমিটির নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত জানায়নি বিএনপি। দলীয় ফোরামে আলোচনা করে পরে সিদ্ধান্ত জানাবে দলটি। সেদিন গুলশানে বিএনপি চেয়ারপার্সনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির ৭ নেতার সঙ্গে বৈঠকে করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও দলটির কয়েকজন নেতা। বৈঠক শেষে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘‘ফ্যাসিবাদ বিলুপ্ত করার পথে আমাদের সামনে এখন একটি বাধা রাষ্ট্রপতির অপসারণ ইস্যু। গত ২৩ অক্টোবর আমরা জাতীয় ঐক্যের ডাক দিয়েছিলাম।’’[৩৮][৩৯]
  • ২৭ অক্টোবর রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের অপসারণ ইস্যুতে সরকারকে কোনো হঠকারী সিদ্ধান্ত না নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, এই মুহূর্তে দেশে সাংবিধানিক শূন্যতা তৈরি হয় এমন কোনো হঠকারী সিদ্ধান্ত নেওয়া ঠিক হবে না। রোববার (২৭ অক্টোবর) রাজধানীর শেরে-বাংলানগরে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের কবরে যুবদলের ৪৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এ মন্তব্য করেন।[৪০]

তথ্যসূত্র

  1. "30 injured in protests calling for Bangladesh president's resignation"Dawn (newspaper)। ২৪ অক্টোবর ২০২৪। সংগ্রহের তারিখ ২৫ অক্টোবর ২০২৪ 
  2. "30 Injured In Protests Demanding Bangladeshi President Resign"Barron's। ২৩ অক্টোবর ২০২৪। সংগ্রহের তারিখ ২৫ অক্টোবর ২০২৪ 
  3. "30 injured in protests demanding Bangladesh President's resignation"Khaleej Times। ২৩ অক্টোবর ২০২৪। সংগ্রহের তারিখ ২৫ অক্টোবর ২০২৪ 
  4. রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ দাবিতে বঙ্গভবনের সামনে তিন ব্যক্তিThe Daily Ittefaq (ইংরেজি ভাষায়)। ২৩ অক্টোবর ২০২৪। সংগ্রহের তারিখ ২৩ অক্টোবর ২০২৪ 
  5. "Student activists slap President Shahabuddin with 24-hour deadline to resign"BDNews24 (ইংরেজি ভাষায়)। ২২ অক্টোবর ২০২৪। সংগ্রহের তারিখ ২৩ অক্টোবর ২০২৪ 
  6. "'Crony of Hasina': Bangladesh protesters siege presidential palace demanding his resignation"The Times of India (ইংরেজি ভাষায়)। ২৩ অক্টোবর ২০২৪। সংগ্রহের তারিখ ২৩ অক্টোবর ২০২৪ 
  7. "Protesters demand removal of Bangladesh president over comments on Hasina's resignation"Deccan Herald। ২২ অক্টোবর ২০২৪। 
  8. "'He was in favour of genocide': Protesters call for Bangladesh president's removal over remarks on Hasina"Times Of India। ২২ অক্টোবর ২০২৪। 
  9. "Bangladesh's president dissolves parliament, clearing the way for elections to replace ousted leader"France 24। ৮ আগস্ট ২০২৪। সংগ্রহের তারিখ ২৪ অক্টোবর ২০২৪ 
  10. "Bangladesh's president dissolves parliament, ending era of ex-Premier Sheikh Hasina"Andalou Agency। ৬ আগস্ট ২০২৪। সংগ্রহের তারিখ ২৪ অক্টোবর ২০২৪ 
  11. "Muhammad Yunus takes oath as head of Bangladesh's interim government"Aljazeera। ৮ আগস্ট ২০২৪। সংগ্রহের তারিখ ২৪ অক্টোবর ২০২৪ 
  12. "'I have no documentary evidence of Hasina's resignation': President tells Manab Zamin chief editor"The Business Standard। ২১ অক্টোবর ২০২৪। সংগ্রহের তারিখ ২৪ অক্টোবর ২০২৪ 
  13. "আমার কাছে শেখ হাসিনার পদত্যাগের কোনো দালিলিক প্রমাণ নেই: রাষ্ট্রপতি"দ্য ডেইলি স্টার। ২১ অক্টোবর ২০২৪। 
  14. "Controversy arises over Hasina's resignation"New Age (Bangladesh)। ২২ অক্টোবর ২০২৪। সংগ্রহের তারিখ ২৪ অক্টোবর ২০২৪ 
  15. "'সর্বোচ্চ আদালতের পরামর্শ নিয়ে রাষ্ট্রপতি অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করেছেন'"দ্য ডেইলি স্টার। ২০২৪-০৮-০৯। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-১২-২৭ 
  16. "Hasina's resignation: Debate swirls around president's remark"The Daily Star (Bangladesh)। ২২ অক্টোবর ২০২৪। সংগ্রহের তারিখ ২৪ অক্টোবর ২০২৪ 
  17. মতিউর রহমান চৌধুরী (২০২৪-১০-২২)। "উনি তো কিছুই বলে গেলেন না..."জনতার চোখ। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-১২-২৪ 
  18. "রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ দাবিতে মাঠে নামছেন শিক্ষার্থীরা"দৈনিক কাল বেলা। ২২ অক্টোবর ২০২৪। সংগ্রহের তারিখ ২৭ অক্টোবর ২০২৪ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  19. "রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ দাবিতে দ্রুতই কর্মসূচি: সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান"দৈনিক ইত্তেফাক। ২১ অক্টোবর ২০২৪। সংগ্রহের তারিখ ২৭ অক্টোবর ২০২৪ 
  20. "শেখ হাসিনা কীভাবে পদত্যাগ করেছেন, জানালেন আসিফ মাহমুদ"আমাদের সময়। ২১ অক্টোবর ২০২৪। সংগ্রহের তারিখ ২৭ অক্টোবর ২০২৪ 
  21. "এখন কেন মৌখিক পদত্যাগপত্রের ভুয়া গল্প প্রচার করছেন"দৈনিক যুগান্তর। ২২ অক্টোবর ২০২৪। সংগ্রহের তারিখ ২৭ অক্টোবর ২০২৪ 
  22. "এবার শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্র নিয়ে হাসনাতের স্ট্যাটাস"দৈনিক কালবেলা। ২১ অক্টোবর ২০২৪। সংগ্রহের তারিখ ২৭ অক্টোবর ২০২৪ 
  23. "শেখ হাসিনাকে উৎখাত করা হয়েছে, পদত্যাগপত্রের ভূমিকা নেই: হাসনাত আব্দুল্লাহ"বাংলা ট্রিউবিন। ২১ অক্টোবর ২০২৪। 
  24. "রাষ্ট্রপতির বক্তব্যে তোলপাড়"বাংলাদেশ প্রতিদিন। সংগ্রহের তারিখ ২৮ অক্টোবর ২০২৪ 
  25. "ছাত্রসমাজ নির্ধারণ করবে রাষ্ট্রপতির কোথায় থাকা দরকার"দৈনিক জনকণ্ঠ। ২১ অক্টোবর ২০২৪। সংগ্রহের তারিখ ২৮ অক্টোবর ২০২৪ 
  26. "রাষ্ট্রপতির জায়গা কোথায় ছাত্রসমাজ নির্ধারণ করবে: সারজিস আলম"দৈনিক যুগান্তর। ২২ অক্টোবর ২০২৪। সংগ্রহের তারিখ ২৮ অক্টোবর ২০২৪ 
  27. "রাষ্ট্রপতির কোথায় থাকা দরকার তা ছাত্রসমাজ নির্ধারণ করবে: সারজিস আলম"সময় টিভি। ২১ অক্টোবর ২০২৪। সংগ্রহের তারিখ ২৮ অক্টোবর ২০২৪ 
  28. "হাসিনার পদত্যাগ ইস্যুতে রাষ্ট্রপতি মিথ্যাচার করেছেন : আসিফ নজরুল"ঢাকা পোস্ট। ২১ অক্টোবর ২০২৪। সংগ্রহের তারিখ ২৮ অক্টোবর ২০২৪ 
  29. "রাষ্ট্রপতি ইস্যুতে যা করলেন আসিফ নজরুল"দৈনিক জনকণ্ঠ। ২৩ অক্টোবর ২০২৪। সংগ্রহের তারিখ ২৮ অক্টোবর ২০২৪ 
  30. "রাষ্ট্রপতি মিথ্যাচার করেছেন, শপথ লঙ্ঘনের শামিল: আসিফ নজরুল"দ্য ডেইলি স্টার। ২১ অক্টোবর ২০২৪। সংগ্রহের তারিখ ২৮ অক্টোবর ২০২৪ 
  31. "রাষ্ট্রপতি ইস্যুতে আসিফ নজরুলের বক্তব্যের সঙ্গে সরকার একমত"দৈনিক যুগান্তর। ২৩ অক্টোবর ২০২৪। সংগ্রহের তারিখ ২৮ অক্টোবর ২০২৪ 
  32. "বঙ্গভবনের নিরাপত্তা জোরদার"দ্য ডেইলি স্টার। ২৩ অক্টোবর ২০২৪। সংগ্রহের তারিখ ২৮ অক্টোবর ২০২৪ 
  33. "বঙ্গভবনের সামনে নিরাপত্তা জোরদার"দৈনিক জনকণ্ঠ। ২৩ অক্টোবর ২০২৪। সংগ্রহের তারিখ ২৮ অক্টোবর ২০২৪ 
  34. "বঙ্গভবন ঘিরে নিরাপত্তার বেড়াজাল"বিডিনিউজ টোয়েন্টি ফোরকডটকম। ২৩ অক্টোবর ২০২৪। সংগ্রহের তারিখ ২৮ অক্টোবর ২০২৪ 
  35. "রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ ইস্যুতে যা বললেন উপদেষ্টা রিজওয়ানা"সময় টিভি। ২৪ অক্টোবর ২০২৪। সংগ্রহের তারিখ ২৮ অক্টোবর ২০২৪ 
  36. "রাষ্ট্রপতির বিষয়ে যে সিদ্ধান্ত হলো উপদেষ্টা পরিষদে"দৈনিক যুগান্তর। ২৪ অক্টোবর ২০২৪। সংগ্রহের তারিখ ২৮ অক্টোবর ২০২৪ 
  37. "২৫ অক্টোবর: সারাদিন যা যা ঘটলো"ভোরের কাগজ। ২৫ অক্টোবর ২০২৪। সংগ্রহের তারিখ ২৮ অক্টোবর ২০২৪ 
  38. "২৬ অক্টোবর ২০২৪ : দিনের আলোচিত সংবাদগুলো পড়ুন এখানে"ঢাকা পোস্ট। ২৬ অক্টোবর ২০২৪। সংগ্রহের তারিখ ২৮ অক্টোবর ২০২৪ 
  39. "রাষ্ট্রপতির অপসারণ ইস্যুতে সিদ্ধান্ত জানায়নি বিএনপি"বাংলা নিউজ টোয়েন্টি ফোরকডটকম। ২৬ অক্টোবর ২০২৪। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-১০-২৮ 
  40. "২৭ অক্টোবর ২০২৪ : একনজরে দেখে নিন গুরুত্বপূর্ণ সংবাদগুলো"ঢাকা পোস্ট। ২৭ অক্টোবর ২০২৪। সংগ্রহের তারিখ ২৮ অক্টোবর ২০২৪ 
Prefix: a b c d e f g h i j k l m n o p q r s t u v w x y z 0 1 2 3 4 5 6 7 8 9

Portal di Ensiklopedia Dunia

Kembali kehalaman sebelumnya