সি. কে. নন্দন
সি. কে. নন্দন (কন্নড়: c.k ನಂದನ್; জন্ম: ১৪ অক্টোবর, ১৯৬৩) দিল্লিতে জন্মগ্রহণকারী ভারতের সাবেক ক্রিকেটার। বর্তমানে তিনি ক্রিকেট আম্পায়ারের দায়িত্ব পালন করছেন। ১৯৯৯ সালে আম্পায়ার হিসেবে তার অভিষেক ঘটে। ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে কর্ণাটকের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। ১৯৮৩ থেকে ১৯৮৮ সময়কালে দলের পক্ষে তিনটি খেলায় অংশ নিয়েছেন তিনি। দলে তিনি মূলতঃ উইকেট-রক্ষকের দায়িত্ব পালন করতেন। প্রারম্ভিক জীবনপ্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অভিষেকের পূর্বে কর্ণাটকের বিদ্যালয় ও অনূর্ধ্ব-২২ দলে খেলেছেন। এছাড়াও বেঙ্গালুরু বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয়ের খেলায় অংশ নেন।[১] ডিসেম্বর, ১৯৮৩ সালে রঞ্জি ট্রফিতে হায়দ্রাবাদের বিপক্ষে খেলার পর দল থেকে বাদ পড়েন।[২] অভিষেকে তিনি ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলেন ও সদানন্দ বিশ্বনাথ উইকেট-রক্ষণের দায়িত্বে ছিলেন।[৩] ১৯৮৪-৮৫ মৌসুমে রঞ্জি ট্রফি'র সেমি-ফাইনালে দিল্লির বিপক্ষে খেলেন। ঐ খেলায় কর্ণাটকের প্রথম পছন্দের উইকেট-রক্ষকদ্বয় সদানন্দ বিশ্বনাথ ও সৈয়দ কিরমানী অনুপস্থিত ছিলেন। দিল্লির একমাত্র ইনিংসে নন্দন তিন ক্যাচ ও এক স্ট্যাম্পিংস মোট চারটি আউটের সাথে নিজেকে জড়িয়ে রাখেন।[৪] আম্পায়ার১৯৯৯-২০০০ মৌসুমে রঞ্জি ট্রফিতে আম্পায়ার হিসেবে অভিষেক ঘটে তার। হরিয়ানা-জম্মু ও কাশ্মিরের মধ্যকার দু'টি খেলা পরিচালনা করেন তিনি।[৫][৬] এরপর থেকেই রঞ্জি ট্রফি, ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের খেলাসহ ভারতের বিভিন্ন ঘরোয়া প্রতিযোগিতায় আম্পায়ারের দায়িত্ব পালন করছেন। ডিসেম্বর, ২০০৩ সালে মহিলাদের ওডিআইয়ে ভারত-নিউজিল্যান্ডের মধ্যকার খেলায় আম্পায়ারের দায়িত্বে ছিলেন যা অদ্যাবধি তার একমাত্র আন্তর্জাতিক হিসেবে রয়েছে।[৭] ২০১১-১২ মৌসুমের শুরুতে সফরকারী ওয়েস্ট ইন্ডিজ ভারত সফরে আসলে ওডিআই সিরিজে নন্দন মাঝে-মধ্যেই সংরক্ষিত আম্পায়ারের দায়িত্ব পালন করতেন।[৮] এরপর ২০১২-১৩ মৌসুমে সফরকারী ইংল্যান্ডের মধ্যকার টেস্ট সিরিজেও একই দায়িত্বে ছিলেন।[৯] ২০১৪ সালে বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত এশিয়া কাপে চূড়ান্ত খেলাসহ চারটি খেলায় তৃতীয় আম্পায়ার ছিলেন।[১০] ৫ অক্টোবর, ২০১৫ তারিখে ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যকার টুয়েন্টি২০ আন্তর্জাতিকের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তিনি তার প্রথম খেলা পরিচালনা করেন।[১১] তথ্যসূত্র
আরও দেখুনবহিঃসংযোগ |