মোহাম্মদ আবদুল্লাহ
মো. আবদুল্লাহ (জন্ম: অজানা) বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। স্বাধীনতা যুদ্ধে তার সাহসিকতার জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে বীর প্রতীক খেতাব প্রদান করে।[১][২] জন্ম ও শিক্ষাজীবনমো. আবদুল্লাহর জন্ম ময়মনসিংহ জেলার ভালুকা উপজেলার তামাট গ্রামে। তার বাবার নাম আবদুল কাদের মিয়া এবং মায়ের নাম হামিদা বেগম। তার স্ত্রীর নাম লিলি আক্তার। তাদের দুই মেয়ে ও দুই ছেলে। কর্মজীবনমো. আবদুল্লাহ ১৯৭১ সালে তৎকালীন মুসলিম কমার্শিয়াল ব্যাংকের নিরাপত্তা প্রহরী ছিলেন। কর্মরত ছিলেন টাঙ্গাইলের পাঁচআনি বাজার শাখায়। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে ঝাঁপিয়ে পড়েন যুদ্ধে। পরে তিনি কাদেরিয়া বাহিনীতে যোগ দেন। আবদুল কাদের সিদ্দিকীর নিজ দলে ছিলেন তিনি। মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা১৯৭১ সালের ১২ অক্টোবর কাদেরিয়া বাহিনীর সামরিক প্রধান আবদুল কাদের সিদ্দিকী খবর পেলেন, নাগরপুরে অবস্থানরত পাকিস্তানি সেনা ও সহযোগীদের জন্য টাঙ্গাইল থেকে রসদ ও খাদ্যসামগ্রী পাঠানো হয়েছে। সেগুলো নিয়ে যাওয়া হচ্ছে এলাসিন-নাগরপুর সড়ক দিয়ে। গরুর গাড়িতে করে। পাহারায় আছে তাদের সহযোগী মিলিশিয়া ও রাজাকার। তখন ওই এলাকায় কাছাকাছি ছিলেন তিনি। তার সঙ্গে ২৮-২৯ জন সহযোদ্ধা। তাদের মধ্যে মো. আবদুল্লাহ দুর্ধর্ষ। তিনি সিদ্ধান্ত নিলেন অ্যামবুশ করার। মো. আবদুল্লাহসহ ২০ জন সহযোদ্ধাকে নিয়ে তিনি দ্রুত রওনা হলেন। অ্যামবুশ করলেন সড়কে। এমন সময় তারা দেখতে পেলেন পাঁচ-ছয়টি গরুর গাড়ি ও চার-পাঁচটি রিকশা। সেগুলোতে মালামাল ভরা। মিলিশিয়া-রাজাকার প্রায় ৩০-৩৫ জন। কয়েকজন আগে-পিছে হেঁটে আসছে। বাকিরা গরুর গাড়ি ও রিকশায় বসে। তারা বুঝতেও পারল না। নিশ্চিন্ত মনে আসছে। অস্ত্রের আওতায় আসা মাত্র গর্জে উঠল মুক্তিযোদ্ধা সবার অস্ত্র। আকস্মিক আক্রমণে হতভম্ব মিলিশিয়া ও রাজাকার। বিশেষত মো. আবদুল্লাহর দুঃসাহসিকতায় তারা প্রতিরোধের সুযোগই পেল না। নিহত হলো তিনজন রাজাকার। আহত ১১ জন। বাকিরা আত্মসমর্পণ করল। এ ঘটনা এলাসিনে। এর অবস্থান টাঙ্গাইল জেলা সদর থেকে দক্ষিণে। মানিকগঞ্জ জেলা সীমান্তে। মো. আবদুল্লাহ অনেক যুদ্ধে অংশ নেন। এর মধ্যে বাসাইলের নথখোলা, ঘাটাইল, নাগরপুর, মির্জাপুরের যুদ্ধ উল্লেখযোগ্য। কালিহাতি উপজেলার এলেঙ্গার রাজবাড়ির যুদ্ধে তিনি আহত হন। তার বাঁ পায়ে মর্টার শেলের স্প্ল্লিন্টারের আঘাত লাগে। পুরস্কার ও সম্মাননাতথ্যসূত্র
পাদটীকা
বহিঃসংযোগ |