স্টিভ ডেভিস
স্টিফেন জেমস ডেভিস (ইংরেজি: Stephen James Davis; জন্ম: ৯ এপ্রিল, ১৯৫২) লন্ডনের হ্যামারস্মিথ এলাকায় জন্মগ্রহণকারী টেস্ট ক্রিকেট পরিচালনায় নিযুক্ত সাবেক অস্ট্রেলীয় আম্পায়ার। এপ্রিল, ২০০৮ সালে আইসিসি’র সেরা আম্পায়ার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হন স্টিভ ডেভিস।[১] আম্পায়ার জীবনহোবার্টে অনুষ্ঠিত নিউজিল্যান্ড বনাম অস্ট্রেলিয়ার মধ্যকার প্রথম টেস্টের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আম্পায়ার হিসেবে প্রবেশ করেন। ২৭ নভেম্বর-১ ডিসেম্বর, ১৯৯৭ তারিখে অনুষ্ঠিত বৃষ্টিবিঘ্নিত ঐ খেলায় দুই নিউজিল্যান্ডীয়ের দৃঢ়তায় অস্ট্রেলিয়ার নিশ্চিত বিজয়কে ড্রয়ে রূপান্তরিত হবার দৃশ্য মাঠে থেকে পর্যবেক্ষণ করেন তিনি। ২০০২ সাল থেকে টেস্ট ক্রিকেটসহ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের নিয়ন্ত্রণাধীন সহযোগী সদস্যদেশের খেলাও পরিচালনা করেছেন। ২২-২৬ নভেম্বর, ২০০১ তারিখে হোবার্টে অনুষ্ঠিত বৃষ্টিবিঘ্নিত নিউজিল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়ার খেলা ড্র হয়। কিন্তু তিনি হাঁটুর আঘাতে মাঠ ছাড়তে বাধ্য হন ও স্থানীয় আম্পায়ার জন স্মিটন ২য় দিনে তার স্থলাভিষিক্ত হন। ২০০৭ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপে ডেভিস তিনটি খেলা পরিচালনা করেন। এরপর ২০০৮ সালে আইসিসি’র সেরা আম্পায়ার তালিকায় তিনি অন্তর্ভুক্ত হন। ৩ মার্চ, ২০০৯ তারিখে পাকিস্তানের লাহোরে একদল সশস্ত্র বন্দুকধারী শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দলের উপর আক্রমণ চালায়। এতে খেলা পরিচালনাকারী কর্মকর্তা হিসেবে সাইমন টাওফেলসহ তিনিও আক্রান্ত হন। পরবর্তীতে সাইমন টাওফেল, ক্রিস ব্রডের সাথে তিনিও পাকিস্তানি নিরাপত্তারক্ষীদেরকে এ ঘটনার জন্য দোষারোপ করেন।[২] ৯ মার্চ, ২০১১ তারিখে ডেভিস তার শততম একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলা পরিচালনা করেন। ২০১১ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বে ভারত বনাম নেদারল্যান্ডসের মধ্যকার এ খেলাটি নয়াদিল্লির ফিরোজ শাহ কোটলা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ২০১৫ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপ প্রতিযোগিতায় খেলা পরিচালনার জন্য ২০জন আম্পায়ারের একজন হিসেবে মনোনীত হন তিনি।[৩] অবসরমে, ২০১৫ সালে ইংল্যান্ড বনাম নিউজিল্যান্ডের মধ্যকার ওডিআই সিরিজ চলাকালে ২৫-বছরের বর্ণাঢ্যময় আম্পায়ার জীবনের সমাপ্তির ঘোষণা দেন।[৪] ১৭ জুন, ২০১৫ তারিখে নটিংহামের ট্রেন্ট ব্রিজে সফরকারী নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ইংল্যান্ডের মধ্যকার খেলাটি ছিল তার শেষ খেলা পরিচালনা করা।[৫] পরিসংখ্যান১৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৫ তারিখ পর্যন্ত স্টিভ ডেভিসের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলা পরিচালনার পরিসংখ্যান নিম্নরূপ:-
তথ্যসূত্র
আরও দেখুন
বহিঃসংযোগ
|