২০০৭ ক্রিকেট বিশ্বকাপ দলসমূহএ তালিকাটি ২০০৭ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপে অংশগ্রহণকারী দলের সদস্যদের তালিকা। ১৪ মার্চ থেকে ২৮ এপ্রিল, ২০০৭ তারিখ পর্যন্ত ওয়েস্ট ইন্ডিজে অনুষ্ঠিত ২০০৭ সালের প্রতিযোগিতাটি ক্রিকেট বিশ্বকাপের ৮ম আসর। ক্রিকেট বিশ্বকাপ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী দলসমূহের ১৫-সদস্যবিশিষ্ট খেলোয়াড়দের চূড়ান্ত তালিকা নিম্নে তুলে ধরা হয়েছে। এ প্রতিযোগিতায় ১৬ দল চার গ্রুপে বিভক্ত হয়ে অংশ নেয়। ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০০৭ তারিখের মধ্যে প্রত্যেক দলকে তাদের ১৫-সদস্যবিশিষ্ট খেলোয়াড়দের চূড়ান্ত তালিকা প্রেরণের কথা বলা হয়। জরুরী প্রয়োজনে বিশেষ করে আঘাতপ্রাপ্ত খেলোয়াড়ের পরিবর্তে আইসিসি টেকনিক্যাল কমিটি কর্তৃক নির্ধারিত সময়সীমার পরও প্রতিযোগিতা চলাকালীন যে-কোন সময়ে খেলোয়াড় পরিবর্তন করা যাবে। ৩০-সদস্যের প্রাথমিক তালিকা মধ্য-জানুয়ারিতে ঘোষণা করার কথা বলা হয় ও চূড়ান্ত পনের জনের তালিকা প্রাথমিক তালিকা থেকে নেয়া হয়।[১] কিন্তু, এ বিধি-নিষেধ উপেক্ষা করেও ইংল্যান্ডের বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার প্রাথমিক তালিকার বাইরে থেকে চূড়ান্ত তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন। এ-গ্রুপ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০০৭ তারিখে অস্ট্রেলিয়া দল ১৫-সদস্যের তালিকা প্রকাশ করে।[২] ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০০৭ তারিখে আঘাতপ্রাপ্তির কারণে ব্রেট লিকে প্রত্যাহার করে স্টুয়ার্ট ক্লার্ককে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।[৩] কোচ: জন বুকানন কেএনসিবি কর্তৃপক্ষ ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০০৭ তারিখে ১৫-সদস্যদের তালিকা প্রকাশ করে।[৫] জানুয়ারি, ২০০৭ সালে বিশ্ব ক্রিকেট লীগ প্রথম বিভাগে অংশগ্রহণকারী সকল খেলোয়াড়ই এতে অন্তর্ভুক্ত হন।[৬] কোচ: পিটার ক্যান্ট্রেল
আগস্ট, ২০০৬ সালে স্কটল্যান্ড দলের সদস্যদের তালিকা প্রকাশ করে মূলতঃ খেলোয়াড়দের কর্মপন্থা নির্ধারণ ও প্রশিক্ষণের সময়সূচী যথাযথভাবে পরিচালনার জন্য।[৭] ওমর হোসেনের পরিবর্তে গ্লেন রজার্স তার স্থলাভিষিক্ত হন।[৮] স্কটল্যান্ডের ১৫-সদস্যের তালিকায় কেবলমাত্র গ্যাভিন হ্যামিল্টন ও জন ব্লেইনের পূর্ববর্তী বিশ্বকাপ খেলার অভিজ্ঞতা ছিল। কোচ: পিটার ড্রিনেন
১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০০৭ তারিখে দক্ষিণ আফ্রিকা দলের ১৫-সদস্যের তালিকা ঘোষণা করা হয়।[১০] কোচ: মিকি আর্থার
বি-গ্রুপ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০০৭ তারিখে বাংলাদেশ দল ১৫-সদস্যের তালিকা প্রকাশ করে।[১২] ৭ এপ্রিল, ২০০৭ তারিখে তাপস বৈশ্যের পরিবর্তে ফরহাদ রেজাকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।[১৩] কোচ: ডেভ হোয়াটমোর
১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০০৭ তারিখে বারমুদা ক্রিকেট দলের ১৫-সদস্যের তালিকা ঘোষণা করা হয়।[১৪] কোচ: গাস লোগি
১২ ফেব্রুয়ারি, ২০০৭ তারিখে ভারত দলের ১৫-সদস্যের তালিকা প্রকাশ করা হয়।[১৫] কোচ: গ্রেগ চ্যাপেল
১২ ফেব্রুয়ারি, ২০০৭ তারিখে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দলের ১৫-সদস্যের তালিকা ঘোষণা করা হয়।[১৬] কোচ: টম মুডি
সি-গ্রুপ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০০৭ তারিখ কানাডা তাদের ১৫-সদস্যের তালিকা প্রকাশ করে।[১৭] কোচ: অ্যান্ডি পিক
১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০০৭ তারিখে ওভালে ইংল্যান্ড দল তাদের ১৫-সদস্যের তালিকা প্রকাশ করে।[১৯] ৪ এপ্রিল, ২০০৭ তারিখে জন লুইস তার স্ত্রীর গর্ভধারণের বিষয়ে ব্যক্তিগত কারণে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণে অপারগতা প্রকাশ করায় স্টুয়ার্ট ব্রড তার স্থলাভিষিক্ত হন।[২০] কোচ: ডানকান ফ্লেচার
১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০০৭ তারিখে কেনিয়া ১৫-সদস্যের তালিকা প্রকাশ করে।[২১] কোচ: রজার হার্পার
১৪ জানুয়ারি, ২০০৭ তারিখে নিউজিল্যান্ড তাদের প্রাথমিক তালিকা প্রকাশ করে।[২২] এরপর ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০০৭ তারিখে ১৫-সদস্যের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করে।[২৩] প্রতিযোগিতা চলাকালীন ড্যারিল টাফি আঘাত পেলে ক্রিস মার্টিন ২৫ মার্চ দলে যোগ দেন।[২৪] একই কারণে লু ভিনসেন্টের পরিবর্তে ২৬ মার্চ হ্যামিশ মার্শাল স্থলাভিষিক্ত হন।[২৫] কোচ: জন ব্রেসওয়েল
ডি-গ্রুপপ্রথম দেশ হিসেবে আয়ারল্যান্ড আগস্ট, ২০০৬ সালে দলের সদস্যদের তালিকা প্রকাশ করে। এর প্রধান কারণ ছিল খেলোয়াড়দের একত্রিত করা ও প্রশিক্ষণের সময়সূচী ঘোষণা করা।[২৬] বাছাইপর্বের খেলায় অংশগ্রহণকারী খেলোয়াড় এড জয়েস ইংল্যান্ডের পক্ষে খেলার সুযোগ পান। কোচ: আদ্রিয়ান বিরেল
১০ জানুয়ারি, ২০০৭ তারিখে পাকিস্তান প্রাথমিক তালিকা প্রকাশ করে।[২৭] এরপর ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০০৭ তারিখে ১৫-সদস্যের চূড়ান্ত তালিকা ঘোষণা করা হয়।[২৮] নিষিদ্ধ মাদক গ্রহণের সাথে জড়িত শোয়েব আখতার ও মোহাম্মদ আসিফকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। উভয়েই পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড কর্তৃক প্রথমাবস্থায় নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। ১ মার্চ তারিখে হাঁটু ও কনুইয়ের আঘাত পাওয়া তাদের পরিবর্তে যথাক্রমে মোহাম্মদ সামি ও ইয়াসির আরাফাত স্থলাভিষিক্ত হন।[২৯] ২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০০৭ তারিখে অনুশীলনী খেলায় হাঁটুতে আঘাত পাওয়ায় আব্দুল রাজ্জাকের পরিবর্তে আজহার মাহমুদকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।[৩০] কোচ: বব উলমার (প্রতিযোগিতাকালীন মৃত্যুবরণ করেন) ও মুশতাক আহমেদ (ভারপ্রাপ্ত কোচ)[৩১]
১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০০৭ তারিখে ওয়েস্ট ইন্ডিজ তাদের দলের সদস্যদের তালিকা প্রকাশ করে।[৩২] কোচ: বেনেট কিং
১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০০৭ তারিখে জিম্বাবুয়ে ১৫-সদস্যদের তালিকা প্রকাশ করে। ২০০৩ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপে অংশগ্রহণকারী দল থেকে কেবলমাত্র একজন খেলোয়াড় এতে ঠাঁই পান।[৩৩] কোচ: কেভিন কারেন
তথ্যসূত্র
|