জকিগঞ্জ উপজেলা
জকিগঞ্জ বাংলাদেশের সিলেট জেলার অন্তর্গত একটি উপজেলা। এটি বাংলাদেশের উত্তর-পূর্ব কোনের সর্বশেষ উপজেলা। ১৯৭১ সালের ২১ নভেম্বর মুক্তিযুদ্ধে জকিগঞ্জ প্রথম দখলদার মুক্ত হয়েছিল। অবস্থান ও আয়তনসিলেট জেলার অন্তর্গত জকিগঞ্জ উপজেলা বাংলাদেশের সর্ব উত্তর-পূর্বাংশে অবস্থিত। ২৬৫.৬৮ বর্গ কিলোমিটার নিয়ে গঠিত জকিগঞ্জ উপজেলা ২৪°৫১′ উত্তর অক্ষাংশ হতে ২৫°০০′ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯২°১৩′ পূর্ব দ্রাঘিমা হতে ৯২°৩০′ পূর্ব দ্রাঘিমা রেখার মধ্যে অবস্থিত। এই উপজেলার উত্তরে কানাইঘাট উপজেলা ও ভারতের মেঘালয়, পূর্ব ও দক্ষিণে ভারতের আসাম, পশ্চিমে বিয়ানীবাজার উপজেলা।[২] প্রশাসনিক এলাকাজকিগঞ্জ উপজেলায় বর্তমানে ১টি পৌরসভা ও ৯টি ইউনিয়ন রয়েছে। সম্পূর্ণ উপজেলার প্রশাসনিক কার্যক্রম জকিগঞ্জ থানার আওতাধীন।[৩]
এ উপজেলায় মোট ১১৫ মৌজা এবং ২৮৬ গ্রাম রয়েছে। নামকরণকুশিয়ারা নদীর তীরে ৩৬০ আউলিয়ার একজন হযরত শাহ জাকি রহ. নামে একজন আউলিয়ার মাযার ছিল। তাঁর মাযারকে কেন্দ্র করে যে সাপ্তাহিক বাজার বসত, তা জাকিগঞ্জ নামে পরিচিতি লাভ করে। পরবর্তীকালে উক্ত বাজারের নামে এই এলাকার নামকরণ করা হয় জকিগঞ্জ।[২] জনসংখ্যার উপাত্তআয়তন: ২৬৭বর্গ কিলোমিটার, জনসংখ্যা: ২,৪২,৫৬১ জন, পুরুষ: ১,২২,০৬১ জন, মহিলা: ১,২০,৫০০ জন, জনসংখ্যার ঘনত্ব: প্রতি বর্গকিলোমিটারে ৮৯০ জন। শিক্ষাউচ্চ মাধ্যমিক কলেজ: ৭টি (১টি সরকারি, ৬টি বেসরকারি), মাধ্যমিক বিদ্যালয়: ২২টি, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়: ১০৭টি, কমিউনিটি প্রাথমিক বিদ্যালয়: ৫টি, রেজিস্টার্ড বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়: ১৯টি, মাদ্রাসা (সকল): ৫৭টি (২১টি দাখিল ও কামিলসহ এবং ৩৬টি কওমী), সাক্ষরতার হার: ৭৮%। জকিগঞ্জে কোনো বিশ্ববিদ্যালয় নেই। উল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বাদেদেওরাইল ফুলতলী কামিল মাদ্রাসা ও জকিগঞ্জ সরকারি কলেজ এবং জকিগঞ্জ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় প্রধান।
এশিয়া মহাদেশের সবচেয়ে বড় এতিমখানা, অর্থনীতিজনগোষ্ঠীর আয়ের প্রধান উৎস কৃষি ৪৬.০৬%, অকৃষি শ্রমিক ৯.০৬%, শিল্প ০.৭৪%, ব্যবসা ১২.৮৪%, পরিবহন ও যোগাযোগ ১.৬৪%, চাকরি ৫.৮০%, নির্মাণ ১.৮৪%, ধর্মীয় সেবা ১.১৯%, রেন্ট অ্যান্ড রেমিটেন্স ৬.৯৩% এবং অন্যান্য ১৩.৯০%। বিদ্যুৎ ব্যবহার এ উপজেলার সবক’টি ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন পল্লিবিদ্যুতায়ন কর্মসুচির আওতাধীন। তবে ১৭.৫৪% পরিবারের বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে। পানীয়জলের উৎস নলকূপ ৩৬.৮৩%, ট্যাপ ১.৬১%, পুকুর ৫৯.৮১% এবং অন্যান্য ১.৭৪%। এ উপজেলার ১৮.১৯% নলকূপের পানিতে মাত্রাতিরিক্ত আর্সেনিকের উপস্থিতি প্রমাণিত হয়েছে। স্যানিটেশন ব্যবস্থা এ উপজেলার ৯৮.৫০% পরিবার স্বাস্থ্যকর এবং ১.৫০% পরিবার অস্বাস্থ্যকর ল্যাট্রিন ব্যবহার করে। স্বাস্থ্যকেন্দ্র হাসপাতাল ৪, উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্র ১, ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র ১০ কমিউনিটি ক্লিনিক ২৬টি।[৪] উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব
দর্শনীয় স্থান
আরও দেখুনতথ্যসূত্র
বহিঃসংযোগ
|