ভোলা সরকারি কলেজ
ভোলা সরকারি কলেজ ভোলা শহরের যুগিরঘোল, ভোলা- চরফ্যশন সড়ক সংলগ্ন এলাকায় অবস্থিত একটি সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। ভোলা সরকারি কলেজ বরিশাল বিভাগ এর নামকরা কলেজগুলোর মধ্যে একটি। ১৯৬২ খ্রিষ্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত কলেজটি ভোলা জেলার প্রাচীনতম এবং দক্ষিণ বাংলার অন্যতম শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠ। ১৯৭৯ সালে জাতীয়করণকৃত এই প্রতিষ্ঠানটি "জাতীয় শিক্ষানীতি-২০১০" এর আলোকে মানসম্মত আধুনিক ও যুগোপযোগী শিক্ষার নিরন্তন প্রচেষ্টা চালিয়ে এই দ্বীপ জেলায় জ্ঞান এর আলো ছড়িয়ে দিচ্ছে। এ কলেজে উচ্চমাধ্যমিক এবং স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষাকার্যক্রম পরিচালিত হয়ে থাকে। কলেজটি নয়নাভিরাম ও মনোমুগ্ধকর প্রাকৃতিক পরিবেশে ঘেরা। এই কলেজ বাংলাদেশ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় এর অধিভুক্ত।[২][৩][৪] জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত শ্রেষ্ঠ কলেজগুলোর মধ্যে ভোলা সরকারী কলেজ প্রথম সাড়িতে অবস্থান করছে। প্রতি বছর এইচএসসি পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করছে। শিক্ষকদের নিবিড় পরিচর্যার ফলে এ কলেজের শিক্ষার্থীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বুয়েট এবং মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ পাচ্ছে। দেশ ও বিদেশে এ কলেজের শিক্ষার্থীরা ভালো অবস্থানে নিজেদের জায়গা করে নিচ্ছে। প্রতিষ্ঠার পটভূমিবাংলাদেশের বৃহত্তম দ্বীপ ভোলার অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর উন্নয়নের লক্ষ্যে তৎকালীন জেলা প্রশাসক জনাব আব্দুল আজীজ এবং কয়েকজন বিদ্যোৎসাহী ব্যক্তির উদ্যোগে ১৫ সেপ্টেম্বর ১৯৬২ খ্রিষ্টাব্দে একাদশ বিজ্ঞান, বাণিজ্য ও মানবিক বিভাগ নিয়ে বেসরকারি রুপে ভোলা কলেজ যাত্রা শুরু করে। ১৯৬৩-৬৪ শিক্ষাবর্ষে কলেজটিতে ডিগ্রি (পাস) কোর্স চালু হয়। ১৯৭৯ সালের ৭ই মে কলেজটিকে জাতীয়করণ করা হয়। ১৯৬২ সালে কলেজটি প্রতিষ্ঠার প্রাথমিক পর্যায়ের ক্লাসসমূহ অনুষ্ঠিত হত। বর্তমান আব্দুর রব মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে। অতঃপর ভোলার বিদ্যোৎসাহী ব্যক্তিদের অক্লান্ত ও নিরলস প্রচেষ্টায় কলেজের নাম এ ক্রয়কৃত জমিতে টিনের ঘর নির্মাণ করে কলেজটির কার্যক্রম পুরোমাত্রায় চালু হয়। ১৯৬৬-৬৭ খ্রিষ্টাব্দে পাকা ভবনের নির্মাণ কাজ চালু হয় এবং পরবর্তী সময় পাকা ভবনটি বিভিন্ন রুপ সংস্কার হয়ে বর্তমান রূপ লাভ করেছে।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] ক্যাম্পাসএকাডেমিক ভবনছাত্র ছাত্রীদের আবাসনকলেজে 'শাহবাজখান ছাত্রাবাস' ও 'কবি নজরুল ইসলাম ছাত্রাবাস' নামে দুইটি ছাত্রাবাস আছে। এছাড়াও ৫০০ শয্যা বিশিষ্ট নতুন ২টি ছাত্রাবাস নির্মাণাধীন রয়েছে। আবাসন ও ছাত্রাবাস কমিটির তত্ত্বাবধানে ছাত্রাবাসগুলো পরিচালিত হয়। এছাড়াও ছাত্রদের জন্য ২০ শয্যা বিশিষ্ট ডরমেটরী রয়েছে। এছাড়াও কলেজে ছাত্রীদের জন্য ছাত্রীনিবাস নির্মাণাধীন।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] মাঠকলেজের অভ্যন্তরেই বিশাল আকৃতির ঐতিহাসিক কলেজ মাঠ অবস্থিত। এখানে বিভিন্ন বিভাগীয় পর্যায়ের খেলাধুলা অনুষ্ঠিত হয়। গ্রন্থাগারভোলা সরকারি কলেজ এর গ্রন্থাগার বরিশাল বিভাগের প্রাচিনতম গ্রন্থাগার এর মধ্যে একটি। কলেজে একটি কেন্দ্রীয় ও ১৬টি বিভাগীয় সেমিনার গ্রন্থাগার রয়েছে। কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারে ১৫৭১৮টি এবং বিভাগীয় সেমিনার গ্রন্থাগার গুলোতে প্রায় ২০,০০০ বই রয়েছে। এছাড়াও ছাত্র ছাত্রীদের জন্য কলেজ গ্রন্থাগারে দৈনিক, সাপ্তাহিক,পাক্ষিক এবং মাসিক পত্রপত্রিকার ব্যবস্থা রয়েছে।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] অনুষদ ও বিভাগসমূহ
অন্যান্য অবকাঠামোগত সুযোগ সুবিধাসমূহ
তথ্যসূত্র
বহিঃসংযোগউইকিমিডিয়া কমন্সে ভোলা সরকারি কলেজ সংক্রান্ত মিডিয়া রয়েছে।
|