মধুর ভান্ডারকর
মধুর ভান্ডারকর (মারাঠি: मधुर भांडारकर, জন্ম: ২৬ আগস্ট, ১৯৬৮) হলেন একজন ভারতীয় চলচ্চিত্র পরিচালক, চিত্রনাট্যকার ও প্রযোজক। ত্রিশক্তি চলচ্চিত্রের মাধ্যমে ১৯৯৯ সালে তার পরিচালনায় অভিষেক হয় এবং এর পরে বেশ কিছু সমালোচনা ও ব্যবসাসফল চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন। তার ২০০১ সালের নাট্যধর্মী চলচ্চিত্র চাঁদনী বার অন্যান্য সামাজিক অনুষঙ্গে শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করে। ভান্ডারকর ২০০৫ সালে পেজ থ্রি চলচ্চিত্রের জন্য শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র এবং ২০০৭ সালে ট্রাফিক সিগন্যাল চলচ্চিত্রের জন্য শ্রেষ্ঠ পরিচালকের জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। ২০০৮ সালে তার নাট্যধর্মী চলচ্চিত্র ফ্যাশনের জন্য তিনি ফিল্মফেয়ার শ্রেষ্ঠ পরিচালক ও শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্য পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন লাভ করেন। ২০১৫ সালের জুন মাসে ভান্ডারকর বিশেষ সম্মানিত অতিথি হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে অনুষ্ঠিত ১ম আন্তর্জাতিক যোগ দিবস অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত হন।[১] ২০১৬ সালে ভান্ডারকর ভারত সরকার প্রদত্ত চতুর্থ সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান পদ্মশ্রী পুরস্কারে ভূষিত হন।[২] কর্মজীবনমধুর ভান্ডারকর পরিচালক রাম গোপাল ভার্মার সহকারী হিসেবে চলচ্চিত্র জগতে প্রবেশ করেন। ভান্ডারকর তার অধীনে দুধ কা কর্জ (১৯৯০), দ্রোহী (১৯৯২) ও রঙ্গিলা (১৯৯৫) চলচ্চিত্রে সহকারী হিসেবে কাজ করে। পরের বছর তিনি পূর্ণ পরিচালক হিসেবে তার প্রথম চলচ্চিত্র পরিচালনার কাজ হাত দেন। তিন বছর পর ১৯৯৯ সালে তার প্রথম পরিচালিত চলচ্চিত্র ত্রিশক্তি মুক্তি পায়। এই চলচ্চিত্রে নামী কোন অভিনয়শিল্পী না থাকায় বক্স অফিসে তেমন ব্যবসা করতে পারে নি। পরে ২০০১ সালে তিনি নাট্যধর্মী চলচ্চিত্র চাঁদনী বার পরিচালনা করেন। ১৫ মিলিয়ন রূপী বাজেটের এই চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন তাবু ও অতুল কুলকার্নী। ছবিটি ব্যবসাসফল হয় ও সমালোচকদের প্রশংসা লাভ করে এবং অন্যান্য সামাজিক অনুষঙ্গে শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করে। ২০০৫ সালে ভান্ডারকর কঙ্কনা সেন শর্মাকে নিয়ে নির্মাণ করেন পেজ থ্রি। চলচ্চিত্রটি ৫৩তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র, শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্য ও শ্রেষ্ঠ চিত্রসম্পাদনার পুরস্কার লাভ করে। ভান্ডারকর ফিল্মফেয়ার শ্রেষ্ঠ পরিচালক পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন। ২০০৭ সালে তিনি ট্রাফিক সিগন্যাল চলচ্চিত্র পরিচালনা করেন। এই চলচ্চিত্রের জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ পরিচালকের জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। ২০০৮ সালে তিনি বিনোদন জগৎ নিয়ে চলচ্চিত্র ফ্যাশন নির্মাণ করেন। ছবিটি ৫৫তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী (প্রিয়াঙ্কা চোপড়া) ও শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী (কঙ্গনা রানাওয়াত) পুরস্কার লাভ করে। এছাড়া ভান্ডারকর ফিল্মফেয়ার শ্রেষ্ঠ পরিচালক ও শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্য পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন লাভ করেন। ব্যক্তিগত জীবনমধুর ভান্ডারকর ২০০৩ সালের ১৫ ডিসেম্বর তার প্রেমিকা রেনু নাম্বুডিরিকে বিয়ে করেন। রেনু একজন ইন্টেরিয়র ডিজাইনার।[৩] তাদের এক কন্যা - সিদ্ধি। চলচ্চিত্রের তালিকা
পুরস্কার ও সম্মাননা
তথ্যসূত্র
বহিঃসংযোগ
|